Thursday, August 1, 2019

|| মিথ্যাবাদী || Mitthabadi || A Lair || by Tobibur Rahman

অনেক বছর আগের কথা । গহিন জঙ্গলের পাশে একটি গ্রাম ছিল, গ্রামের পাশ দিয়ে একটি ছোট নদী  বয়ে গিয়েছিল। নদীটির নাম ছিল পার নদী। কেন এই  নাম তা জানা যাই নি।যাই হোক গ্রামটার নাম ছিল আঠারো পাড়া কারন এই গ্রামে মোট আঠারোটি পাড়া ছিল। অনেক ইতিহাস ঘেঁটেও সকল পাড়া গুলোর নাম জানা যাই নি।তবে যে সকল পাড়ার নাম জানা গেছে তা খুব ই মজার। পাড়া গুলোর নাম ছিল এক পাড়া, হুলো পাড়া, মগা পাড়া, হাস্য পাড়া, হাঁস পাড়া,গোলাপি পাড়া, আম পাড়া সহ মোট ১৮ টি। আম পাড়া গ্রামের শেষ সীমানাতে ও জঙ্গলের একেবারে ধারে ছিল । আর এই গ্রামেই বাস করত সারু নামের এক বালক । সে অনেক দুষ্টু সে সারাক্ষণ বাস্ত থাকত গ্রামের মানুষদের সাথে মজা করার জন্য ও নানা ভাবে গ্রামবাসীদের জালাতন করত ,এই জন্য তার মা ছকিনা তাকে ছাগল আর গরু চরানোর কাজ দিল। বেচারা সারু কি আর করবে ভেবে পাই না । সারা দিন জঙ্গলের ধারে গরু ছাগল চরাতে হয়। এই ভাবে তার কিছু দিন কাটল।অনেক দিন মজা করতে পারে না সে ।তাই অনেক ভেবে  একটা  বুদ্ধি বের করল কি করে গ্রামবাসীদের সাথে  মজা করা যায়। একদিন সে জঙ্গলের ধারে প্রতিদিনের মতো ছাগল চরাছিল। সে ছাগল  চরাতে চরাতে ছাগলদের মতো করে "ব্যায়া" "ব্যায়া" করত। কেন করত তা কেউ বলতে পারে না। মজা করার জন্য সে যে বুদ্ধি বের করেছিল তা কাজে লাগানোর জন্য "বাঘ" "বাঘ" "বাঘ" বলে চিৎকার করা শুরু করেছিল কিন্তু তার গলা দিয়ে বের হয়েছিল "ব্যায়া" "ব্যায়া""ব্যায়া" "ব্যায়া"। তবে পরের বার টিক ই "বাঘ" "বাঘ" "বাঘ" বলে চিৎকার করেছিল । তার চিৎকার শুনে গ্রামের কৃষকরা, অন্যান্য মানুষগুলো সে যা পেল তাই নিয়ে যুদ্ধে নেমে পড়ল । বাঘ আর মানুেরষ যুদ্ধ। কিন্তু কোথায় বাঘ , বিড়াল ও দেখা গেল না যুদ্ধের ময়দানে। গ্রামের সকল মানুষ জন সারুর উপর ব্যাপক  রেগে যাই । হুলো পাড়ার হাফিজ এমন  রেগে গেল যে দৌড়ে গিয়ে চড় বসাবে তার গালে কিন্তু সেই সময় সে এমন ভাবে হেসে উটলো যে হাফিজ ই ভয় পেয়ে দৌড় দিল তাকে জীন  এ ধরেছিল ভেবে। এই সব কাণ্ডকারখানা দেখে মগা পাড়ার মফিজ আলি কান্না জুড়ে দিয়াছিল । এতে সারু অনেক মজা পেল। তাই সে প্রায়  ই এভাবে  "বাঘ" "বাঘ" "বাঘ" "বাঘ" "বাঘ" "বাঘ" বলে চিৎকার করত । আর গ্রাম বাসীরা তার উপর অনেক রেগে গেল। এর মধ্যে অনেকএ তার চিৎকার শুনে তাকে সাহায্য কারার জন্য আর তার কাসে যায় না । তবু ও সে প্রায় ই এমন করে গ্রাম বাসীকে বিরক্ত করত। গোলাপি পাড়ার গফু সারুর মা ছকিনার কাছে তার ছেলের নামে নালিশ জানাই । একদিন সারু তার রোজকার দিনের মতো জঙ্গলের ধারে ছাগলদের নিয়ে গিয়ে ঘাস খাওয়াছিল এমন সময় এক বিরাট বাঘ তার সামনে এসে পড়ায় ভয়ে তার গলা শুকিয়ে গিয়েছিল। তবু ও তার শরীরের সকল শক্তি দিয়ে সে চিৎকার করেছিল। আম পাড়ার সকলেই সে চিৎকার শুনতে পেয়াছিল। কিন্তু কেউ তার চিৎকার এ কান দেয়ছিল না শুধু মায়া বাদে। মায়া হলো সারুর বান্ধবী (কেমন বান্ধবি সেটা তো আর বলতে হবে না আশা করছি আমার পাটক গণ তা বুজে যাবেন)। তাই  সে দৌড়ে গেল জঙ্গলের ধারে গিয়ে দেখে যে সত্যি এক বিরাট বাঘ একটি ছাগল খাচ্ছে।আর সারু ভয়ে একটি ছোট আম গাছের উপর বসে কাঁদছে ।মায়া অনেক বুদ্ধিমতি মেয়ে ।তাই সে দৌড়ে গিয়ে গ্রামের সকলকে ডেকে নিয়ে এসে আর এতক্ষণ এ বাঘটি ৫ টা ছাগল খেয়ে ফেলে। আর সারুর একটি হাতে একটি থাবা দেয় ফলে সে অজ্ঞান হয়ে যায়। এত লোকজন আসতে দেখে বাঘ ভয় পেয়ে জঙ্গলের মধ্যে চলে যায়। গ্রাম বাসীরা এসে সারুকে উদ্ধার করে । সে ৫ দিন পর জ্ঞান ফিরে পায় আর প্রতিজ্ঞা করে আর কোন দিন মিথ্যা বলবে না । এর পর আমি আর জানি না কেউ জানলে আমাকে  জানাবেন...........................

2019 শেষে বাংলাদেশ || Tobibur Rahman

কিছু সময় পর শেষ হবে 2019 । আজ থেকে 48 বছর আগে বাংলার দামাল ছেলেরা আমার এই প্রিয় দেশটাকে স্বাধীন করেছে । স্বাধীন ভাবে বাঁচার জন্য। নিরাপ...